মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের সকল জেলায় ৫৩ হাজার তিনশত ৪০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী জমিসহ ঘর প্রদান করবেন। এর মধ্যে খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় মোট এক হাজার তিনশত ৫১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পাবেন, যা খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ।

আজ (শুক্রবার) সকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন তাঁর সম্মেলনকক্ষে এ উপলক্ষ্যে এক প্রেসব্রিফিং এসকল তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়, খুলনার সকল উপজেলায় গৃহনির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুইশতক জমিসহ নির্মিত ঘর ইত্যেমধ্যে দলিল কবুলিয়ত ও মিউটেশন সম্পন্ন করে রবিবারে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ব্রিফিং এর আরও জানানো হয়, খুলনা জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ মনিটরিং এবং সুপারভিশনে এ জেলার ভূমিহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং উপকারভোগী বাছাই এর ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণকে প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

খুলনার উপকারভোগীদের মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলায় পাঁচশতটি, রূপসায় দুইশত ১৫টি, পাইকগাছায় তিনশত, দাকোপ দুইশত, তেরখাদা ৪০টি, বটিয়াঘাটা ৩০টি, কয়রা ৩০টি, দিঘলিয়া ৩০টি এবং ফুলতলা উপজেলায় ছয়টি পরিবারকে এই ঘর দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে চলতিবছরের ২৩ জানুয়ারি সারা দেশে ৬৯ হাজার নয়শত চার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে খুলনা জেলায় নয়শত ২২টি পরিবার এই ঘর পান।

প্রেসব্রিফিং এ খুলনার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিকুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহানাজ পারভীন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।